সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

শহীদনগর গ্রামে

শনিবার। অঘ্রানের শুরু হয়েছে দু দিন আগে। আকাশে কাঠফাটা রোদ। গ্রামের নাম শহীদনগরশুরুতেই গ্রাম্য পাঠশালাটি চোখে পড়ে। সকাল সাড়ে নটা থেকে বিকাল তিনটা। পর্যন্ত চলে পাঠদান। এলাকার ছেলেমেয়েরা অবুঝ থেকে পাক্কা হওয়া পর্যন্ত এখানে পড়ে। বিকাল বেলা স্থানীয় যুবকেরা এখানে ক্রিকেট খেলে। জমে উঠে আড্ডা।
আজ স্কুল খোলা ছিল। ২ টা পর্যন্ত সবুজ ইউনিফর্ম পরা মেয়েদের পদচারণায় মুখর ছিল স্কুলমাঠ।
আজ আড্ডা জমে নি। লিকলিকে শরীরের বাদল মিয়া এসে বসেছিল কিছুক্ষন। একাই টান দিল সিগারেটে। নাক দিয়ে ধোয়া বের হচ্ছে। জীবন্ত ইটভাটার মতো গোঁ ধরে টেনে চলল সে। ততক্ষণে কেও আসেনি।
অগ্রাহায়ন মাস। আকাশ নীল। বাদল চলে যাচ্ছে। শহীদনগর মাঠ আজ শূন্য।
মাঠের জমি দাতা হাসেম দপ্তরী। জমি দেয়ার পর আর কেও তাঁকে খুজেনি। তিনি কেমন আছেন? তিনি মারা গেছেন সাত বছর আগে। সাত বছর হয়ে গেছে। কিন্তু স্কুলের সাথে সম্পৃক্ত কোন সদস্য এসে দেখেন নি তাঁর শেষ। ঠিকানা। তিনি শুয়েছেন একা। সতীর্থদের দেখতে চান তিনি। কবরের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একজন লোককে, বেঁচে থাকার সময় যার সাথে কথা হয়েছিল। আজ তিনি নেই। কিন্তু জীবিতের কি সে সময় আছে? একটা মুহুর্ত দাঁড়াতে এই ছেড়ে যাওয়া লোকটার পাশে?
                                 (চলবে...)


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ